নুরুল আলম সাঈদ ,নাইক্ষ্যংছড়ি(বান্দরবান):
পার্বত্য বান্দরবান জেলায় সন্ত্রাস-জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বিবোচনায় র্দূগম রুমা,থানছি ও রোয়াংছড়ি এই তিন উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানে ফের এই নিষেধাজ্ঞা জারি করল জেলা প্রশাসন । (১৫ র্মাচ) মঙ্গলবার রাতে বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে অনির্দিষ্টকালের এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। বুধবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।

বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। সাঁড়াশি অভিযানের কারণে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বুধবার থেকে রুমা উপজেলার সঙ্গে রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায়ও পর্যটকদের ভ্রমণে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত হওয়ায় নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা উপজেলায় গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা বলবত রয়েছে। তার সঙ্গে নতুন করে রোয়াংছড়ি ও থানচি এই দুটি উপজেলা ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে তিনটি উপজেলা ব্যতীত অন্যসব উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ করতে কোনো বাধা নেই।

এদিকে গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞায় বান্দরবান জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে রুমিা উপজেলার বগালেক, রিজুক ঝর্না, তাজিংডং, ক্যাওক্রাডং, রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড় এবং থানচি উপজেলার তমাতুঙ্গী, রেমাক্রী, নাফাখুম, অমিয়খুম, বাকলাই ঝর্না, আন্ধারমানিকসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন না পর্যটকরা।